স্টক নিউজ বিডি প্রতিবেদন: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর পূর্ণ নাম : মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী। তথা “বার্তাবাহক” (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক।অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও চূড়ান্ত সফলতা তার। সমগ্র আরবসহ বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জন্মঃ
তিনি, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন পিতা হারা হন শিশু বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মাতাকে হারিয়ে এতিম হন এবং প্রথমে তার পিতামহ আবদুল মুত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। হযরত জিবরাঈল ( আঃ) ফেরেশতা এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তার নিকট ওহী নিয়ে আসেন। তিন বছর পর ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন ।এবং ঘোষণা দেন “আল্লাহ্ এক” ও তার নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এবং ইসলামের অন্যান্য নবীদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসুল ।
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নিকটে আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে “আল্লাহর বাণী” বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
স্টক নিউজ বিডি.কম/ এসআর
আরও পড়ুন……