স্টক নিউজ বিডি ডেস্ক: পুরুষের মতো অনেক মেয়ের মুখেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ অবস্থাকে হিরসুটিজম বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। বিশেষ করে তরুণী বা কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় মহা বিরক্তিকর।
সাধারণভাবে নারীদের মুখে অতিরিক্ত গোঁফ-দাড়ি হওয়াকে কোনো-না-কোনো রোগের লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও মহিলাদের মুখে সামান্য লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। লোমের পরিমাণ অথবা প্রকৃতি বিভিন্নজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
ধরে নেয়া হয়, মহিলাদের শরীরে এন্ড্রোজেন নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এই এন্ড্রোজেন মূলত পুরুষ দেহে বিদ্যমান একটি হরমোন। তবে মহিলাদের শরীরেও এ হরমোন অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থাকে। কোনো কারণে যদি এ হরমোনের মাত্রা মহিলাদের শরীরে বেড়ে যায় তা হলে মহিলাদের শরীরে এ রকম অতিরিক্ত মাত্রায় গোঁফ-দাড়ি গজাতে থাকে। তা ছাড়া শরীরে এন্ড্রোজেনজাতীয় হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে বা বিরত রাখতে পারে এমন প্রোটিনজাতীয় একটি পদার্থ স্বল্পতার কারণেও এ রকম অবস্থায় সৃষ্টি হতে পারে।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
এ ব্যাপারে হরমোন, ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন বলেন, মেয়েদের মুখে দাড়ি হওয়া হরমোনজনিত সমস্যা। ছেলেদের মুখে সময়মতো দাড়ি না ওঠাও আরেকটি হরমোনগত সমস্যা।
তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের দেখতে হবে এটা বংশগত কিনা। কারণ অনেকের বংশে দাড়ি, গোঁফ কম হয়। যারা দাড়ি রাখেন তাদের মুখের দিকে তাকালে কিন্তু বোঝা যায়। সবার দাড়ির ঘনত্ব কিন্তু একই রকম নয়। আর একেবারে যদি দাড়ি না উঠে, তাহলে তাকে হরমোন বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিতে হবে সময়মত। একই সাথে তার অন্ডকোষ ঠিক আছে কিনা, দেখতে হবে। পেনিস (লিঙ্গ) ঠিক আছে কিনা, সাইজ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। দাড়ি ওঠার যে হরমোন তা অন্ডকোষ থেকে তৈরি হয়। এ জাতীয় কোনো সমস্য হলে উন্নত চিকিৎসা রয়েছে।
স্টক নিউজ বিডি.কম
আরও খবর পড়ুন……
শেয়ার করুন