দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা ডিজিটাল (ভার্চুয়াল) প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীর সম্মানীয় চেয়ারম্যান জনাব কাজী হারুন অর রশিদ। সভায় কোম্পানির সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এম সদরুল ইসলাম সহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, চেয়ারম্যান অডিট কমিটি, চেয়ারম্যান এনআরসি, অডিটর, কমপ্লায়ান্স অডিটর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুটিনাইজার এবং নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানী সেক্রেটারী উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সকাল ৯.৩০ মিনিটে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব, কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন ও নিরীক্ষকগণের প্রতিবেদন পেশ করা হয়। সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণের পক্ষ থেকে বিস্তারিত আলোচনার পর সর্বসম্মতক্রমে বার্ষিক হিসাব ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়।
সভায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের আর্থিক ফলাফলের ভিত্তিতে ৬০% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। সভায় সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এম সদরুল ইসলাম। সভায় স্পন্সর পরিচালকগণের মধ্য থেকে সর্বজনাব কাজী হারুন অর রশিদ ও প্রফেসর ড. এ কে এম সদরুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সভায় ন্যাচারাল মেডিসিন এর ক্রমাগত বাজার চাহিদার প্রেক্ষাপটে কোম্পানির টেকসই উন্নয়ন এবং অধিকতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আইনগত দিক পরিপালন পূর্বক কোম্পানির ন্যাচারাল মেডিসিন ডিভিশন-কে একটি পৃথক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি “দি ইবনে সিনা ন্যাচারাল মেডিসিন লি.”-এ স্থানান্তরকরণের বিষয়টি সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক “বিশেষ সিদ্ধান্ত” হিসেবে অনুমোদিত হয়।
জাতীয় রাজস্ব কোষাগারে শুল্ক, কর ও ভ্যাট বাবদ কোম্পানী ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত ১৭৮,৯৫,৮৪,৮২৬ টাকা (এক শত আটাত্তর কোটি পঁচানব্বই লক্ষ
চুরাশি হাজার আটশত ছাব্বিশ টাকা) প্রদান করে জাতীয় অর্থনীতি বিকাশে এক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। জাতীয় শ্রমনীতির আলোকে কোম্পানী বছরে মুনাফার শতকরা ৫ ভাগ টাকা অর্থাৎ ৪,০৩,৪১,৬০৫ টাকা (চার কোটি তিন লক্ষ একচল্লিশ হাজার ছয়শত পাঁচ টাকা) শ্রমিক মুনাফা অংশীদারিত্ব তহবিলে প্রদান করেছে।
পরম করুণাময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কোম্পানীর সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার, ইবনে সিনা পরিবারের সকল সদস্য, কোম্পানীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতি কামনার মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।