স্টক নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: প্রযুক্তি অনেকদূর এগিয়েছে, তার সঙ্গে এগিয়েছে বিশ্ব। কিন্তু কিছু লোক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিতও করছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে এখনো মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অপব্যবহারের প্রতারকদের অভিনব ফাঁদ স্পুফিং। এটিও ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্পুফ অর্থ প্রতারণা করা, ধোঁকা দেওয়া। আইটি জগতেও স্পুফিং মানে কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা ইউজারকে ধোঁকা দেওয়া। সাধারণত কোনো ইউজাররের আইডি গোপন করে অথবা নকল করে স্পুফি করা হয়।
সাধারণত হ্যাকাররা নিজেদের ইনফরমেশন হাইড করতে কিংবা প্রতারণার উদ্দেশ্যে স্পুফিং করে থাকে। ইনফরমেশন হাইড করা মানে কী? ধরা যাক, কোনো হ্যাকার যদি কোনো সিস্টেম হ্যাকিং করে তাহলে ওই সিস্টেমে তার আইপি এড্রেস থেকে যাবে, এতে সে ধরা পড়তে পারে। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য সে আইপি স্পুফিং করে তার আইপির বদলে অন্য কারো আইপি ব্যবহার করল। আর প্রতারণার উদ্দেশ্যে বলতে বোঝায়, হ্যাকাররা কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ব্যবহার করে কারো সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করে। ধরুন, হ্যাকার কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে (ই-মেইল স্পুফিং) আপনাকে আকর্ষণীয় কোনো অফার দিয়ে ই-মেইল পাঠাল। আপনি যদি না জেনে সেই ফাঁদে পা দেন, তাহলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন। বিভিন্ন সিস্টেমে স্পুফিং করা হয়। যেমন—কলার আইডি স্পুফিং, আইপি স্পুফিং, ই-মেইল স্পুফিং, ম্যাক স্পুফিং উল্লেখযোগ্য।
ইদানীং বাংলাদেশে কলার আইডি স্পুফিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করার ঘটনা বেশি ঘটছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মোবাইল নম্বর স্পুফিং করে তাদের পরিচয় ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অনেকে আবার বিভিন্ন পরিচিতজন, কাস্টমার কেয়ারের নম্বর স্পুফিং করেও মানুষকে প্রতারিত করছে।
ইসলামের দৃষ্টি যেকোনো প্রতারণাকে হারাম করা হয়েছে, তা যে রূপেই হোক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ও মুমিনদের যারা প্রতারিত করে, আসলে তারা নিজেরা নিজেদের প্রতারিত করছে, অথচ তারা তা বুঝে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৯)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ১০২)
স্টক নিউজ বিডি.কম
আরও খবর পড়ুন……